Model Activity Task Geography Class 9 Part- 6 September 2021 WBBSE
সকলকে ‘বেঙ্গল স্কুল গাইড'(Bengal School Guide) ওয়েবসাইটে স্বাগত জানাই। এখানে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (
West Bengal Board of Secondary Education ) দেওয়া ভূগোল বিষয়ের মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর প্রশ্ন-উত্তর আলোচনা করা হয়। এখানে 2020, 2021 সালের ভূগোলের সমস্ত ক্লাসের মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক – এর প্রশ্ন-উত্তর আলোচনা করা হয়েছে।
এই পোস্টটিতে আলোচনা করা হয়েছে পর্ষদের দেওয়া 2021 সালের September মাসের class 9 এর Model Activity Task Part 6 এর সমস্ত প্রশ্ন-উত্তর।
West Bengal Board of Secondary Education
MODEL ACTIVITY TASK
2021 (September)
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক
GEOGRAPHY
(পরিবেশ ও ভূগোল)
CLASS 9
Part 6
👉 প্রশ্নপত্র: প্রশ্নপত্রটি পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (WBBSE) Official website থেকেও পিডিএফ আকারে download করতে পারো। [ DOWNLOAD STEPS: Home > DIGITAL CONTENTS > Students’ Corner >2021 Activity Task III (Sept)]
এখানে প্রশ্নপত্রটি ছবি আকারে দেওয়া হল।
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ।
১.১ অক্ষরেখার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো –
ক) সর্বোচ্চ অক্ষরেখার মান ০°
খ) প্রতিটি অক্ষরেখা মহাবৃত্ত
গ) অক্ষরেখা গুলি পরস্পরের সমান্তরাল
ঘ) প্রতিটি অক্ষরেখার পরিধি সমান
উত্তর: গ) অক্ষরেখা গুলি পরস্পরের সমান্তরাল
১.২ বিদার অগ্ন্যুদগম এর মাধ্যমে সৃষ্ট ভূমিরূপ হল –
ক) স্তুপ পর্বত
খ) লাভা মালভূমি
গ) পর্বত বেষ্টিত মালভূমি
ঘ) আগ্নেয়গিরি
উত্তর: খ) লাভা মালভূমি
১.৩ ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করো –
ক) দামোদর নদী – পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের পার্বত্য অঞ্চল
খ) কালিম্পং জেলা – সমুদ্র থেকে দূরবর্তী স্থান
গ) পডজল মৃত্তিকা – পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চল
ঘ) আলপাইন উদ্ভিদ – সুন্দরবন অঞ্চল
উত্তর: খ) কালিম্পং জেলা – সমুদ্র থেকে দূরবর্তী স্থান
২. শূন্যস্থান পূরণ করো:
২.১ দ্রাঘিমা রেখা গুলি নিরক্ষরেখাকে ৯০° কোনে ছেদ করেছে।
২.২ আবহবিকার গ্রস্ত শিলা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে মূল শিলার উপর যে আবরণ তৈরি করে তাকে রেগোলিথ বলে।
২.৩ দার্জিলিং জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত একটি নিত্যবহ নদী হল তিস্তা।
৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও।
৩.১ আবহবিকারের প্রাণীদের ভূমিকা উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: প্রাণীর সাহায্যে শিলা যান্ত্রিক ও রাসায়নিক পদ্ধতিতে চূর্ণ-বিচূর্ণ ও বিয়োজিত হলে তাকে জৈবিক আবহবিকার বলে।
যান্ত্রিক আবহবিকার: প্রেইরি কুকুর, খেকশিয়াল, ইঁদুর, উইপোকা, কেঁচো প্রভৃতি শিলায় আঁচড় কেটে, গর্ত করে শিলার যান্ত্রিক আবহবিকার ঘটায়।
রাসায়নিক আবহবিকার: মৃত প্রাণীর দেহ থেকে নিঃসৃত অ্যাসিড এবং জীবানু ও ব্যাকটেরিয়ার দেহ থেকে নিঃসৃত রস শিলার রাসায়নিক আবহবিকার ঘটায়।
৩.২ ‘পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ সমভূমি অঞ্চলে বসবাস করেন।’- ভৌগলিক কারণ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: সুবিস্তৃত মৃদু ঢাল যুক্ত সমতল ভূমিকে সমভূমি বলে। মোট স্থলভাগের ৫৩% হলো সমভূমি। সমভূমিতে বসবাসের উপযুক্ত মনোরম আবহাওয়া, কৃষিকার্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিল্প, বাণিজ্য পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা উপযোগী পরিবেশ গড়ে ওঠে বলে সমভূমি তে সবচেয়ে বেশি লোক বসবাস করে।
ভৌগোলিক কারণ:
কৃষিকার্য: বেশিরভাগ সমভূমি উর্বর পলি, বেলে মাটি দ্বারা গঠিত। পলি মাটির উর্বরতার কারণে যেমন – গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র সমভূমি অঞ্চলে ব্যাপক পরিমাণে কৃষি কাজ হয় এবং এ অঞ্চলে ঘন জনবসতি গড়ে উঠেছে।
জলের সহজলভ্যতা: সমভূমিতে অসংখ্য নদনদী, জলাশয়, হ্রদ এবং মাটির অগভীরে ভৌম জলের সহজলভ্যতা রয়েছে।
জলবায়ু: সমভূমি অঞ্চলে সমভাবাপন্ন জলবায়ু বিরাজ করে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টিপাত এই অঞ্চলের জলবায়ু কে বসবাসের উপযুক্ত করে তোলে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা: সমভূমি অঞ্চলের ভূমিরূপ সমতল হওয়ার কারণে ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠা সহজ হয়।
৪. পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ু কিভাবে মৌসুমী বায়ু দ্বারা প্রভাবিত হয়?
উত্তর: পশ্চিমবঙ্গ ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু অঞ্চলের অন্তর্গত। এ রাজ্যের উপর দিয়ে গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ও শীতকালে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয় ফলে এই রাজ্যের জলবায়ু বিভিন্নভাবে মৌসুমী বায়ুর দ্বারা প্রভাবিত।
👉 ঋতু বৈচিত্র: পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ু প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো ঋতু পরিবর্তন। মৌসুমী বায়ুর আগমন ও প্রত্যাবর্তনের সময়ের উপর ভিত্তি করে এই রাজ্যের জলবায়ুকে চারটি ঋতুতে ভাগ করা হয়। যেমন – i) গ্রীষ্মকাল বা প্রাক মৌসুমি ঋতু ii) বর্ষাকাল বা মৌসুমী বায়ুর আগমন কাল iii) শরৎকাল iv) শীতকাল।
👉 বৃষ্টিপাত: দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বঙ্গোপসাগরে থেকে জলীয়বাষ্প নিয়ে উত্তরে দার্জিলিং হিমালয়ে বাধাপ্রাপ্ত হয় সমগ্র রাজ্যে প্রবল শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত ঘটায়। এখানে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত হয় ১২৫° – ১৭৫° সেমি.। এই বৃষ্টিপাতের প্রভাবে সমগ্র রাজ্যে ধান, পাট ও অন্যান্য ফসলের ব্যাপকভাবে চাষ হয়। তাই পশ্চিমবঙ্গের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি ও চাষবাস মৌসুমি বায়ুর প্রভাব অপরিসীম।
👉উষ্ণ-আর্দ্র গ্রীষ্মকাল: দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে গ্রীষ্মকাল উষ্ণ -আর্দ্র প্রকৃতির হয়।
👉 অনিশ্চিত বৃষ্টিপাত: এই রাজ্যে মৌসুমী বায়ুর আগমন ও প্রত্যাবর্তনের অনিশ্চয়তার কারণে কোন বছর খরা, বা আবার কোন বছর অতিবৃষ্টির কারণে বন্যা দেখা যায়।
👉 শুষ্ক শীতকাল (ডিসেম্বর ও মার্চ-এর মধ্যভাগ): মৌসুমী বায়ুর প্রত্যাবর্তনকারী উত্তর পূর্ব মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এই রাজ্যে শীতকালে মেঘমুক্ত পরিষ্কার ও শীতল আবহাওয়া বিরাজ করে।
👉 পোষ্টটি সম্পর্কে কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকলে পোস্টের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারো।
👉 ভূগোলের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর অন্য যেকোনো প্রশ্নের উত্তর জানার থাকলে e-mail করতে পারো bengalschoolguide@gmail.com এই e-mail ID তে কিংবা কমেন্ট বক্সে জানাতে পারো।