Model Activity Task Class 8 Geography Part- 1 2020 WBBSE PDF

WBBSE

 Model Activity Task

Class 8 PART-I 

2020


মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক (পরিবেশ ও ভূগোল)    

প্রশ্নপত্রঃ 

সমাধান ঃ 

Model Activity Task geography class 8 part 1 2020 answers

প্রশ্ন ঃ ১। বিভিন্ন স্তর ও বিযুক্তিরেখাসহ পৃথিবীর অভ্যন্তরের চিহ্নিত চিত্র অঙ্কন করো ।

উত্তর ঃ

চিত্রঃ পৃথিবীর অভ্যন্তরের বিভিন্ন স্তর ও বিযুক্তিরেখা সমূহ

প্রশ্ন ঃ ২। কোন জায়গায় ভূমিকম্প শুরু হলে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তা নিজের ভাষায় গুছিয়ে লেখো ।

উত্তর ঃ 

কোন জায়গায় হঠাৎ ভূমিকম্প শুরু হলে যে ব্যবস্থা অবলম্বন করতে হবে তা হল –

  • বাড়ি বা বিদ্যালয়ে থাকাকালীন হঠাৎ ভূমিকম্প হলে বাড়ির নিচতলায় থাকলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বেরিয়ে কোন খোলা জায়গায় যেতে হবে।
  • বাড়ি বা বিদ্যালয় থেকে বেরোনো সম্ভব না হলে বাড়ির মধ্যে কোন টেবিল, খাট বা শক্ত আসবাবের তলায় ঢুকে আশ্রয় নিতে হবে।
  • যদি কেউ বাড়ির উপর তলায় থাকে তাহলে নিচে আসার চেষ্টা করা থেকে বাঁচতে হবে। সিঁড়ি ভেঙ্গে পড়ার বা সিঁড়ি থেকে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর বদলে শক্ত আসবাবের তলায় আশ্রয় নিতে হবে।
  • এই সময়ে কেউ যদি বাড়ির বাইরে থাকে, তাহলে তাকে খোলা স্থানে দ্রুত চলে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে সেই জায়গার উপর যেন কোন সেতু, বাড়ি, গাছ, চিমনি যেন ভেঙ্গে না পড়ে।
  • বাড়ির ভিতরে মনে রাখতে হবে উপরে রাখা কোনো ভারী বস্তু যেন গায়ে না পড়ে।
  • যানবাহনে থাকাকালীন হঠাৎ ভূমিকম্প শুরু হলে সম্ভব হলে গাড়িটি খোলা জায়গায় দ্রুত নিয়ে যেতে হবে অথবা সম্ভব না হলে গাড়ি থামিয়ে গাড়ির ভিতরেই থাকতে হবে।

Model Activity Task geography class 8 part 1 2020 answers

প্রশ্ন ঃ ৩। যেকোনো পাঁচটি ক্ষেত্রে তিন ধরনের শিলার ব্যবহার উদাহরণসহ লিপিবদ্ধ করো ।

উত্তর ঃ 

শিলা সাধারণত তিন ধরনের হয় –
ক) আগ্নেয় শিলা
খ) পাললিক শিলা
গ) রূপান্তরিত শিলা

এই তিন ধরনের শিলার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার নিচে আলোচিত হলো –

আগ্নেয় শিলা:

ব্যবহার:

i) ব্যাসল্ট, গ্রানাইট প্রভৃতি আগ্নেয়শিলা ব্যাপকহারে ব্যবহৃত হয়। ব্যাসল্ট শিলা রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি নির্মাণে ও গ্রানাইট শিলা সৌধ, প্রাসাদ, স্থাপত্য ও ভাস্কর্য, রাস্তাঘাট নির্মাণে ব্যবহার হয়।
ii) কোয়াটজ গয়না তৈরি, কাচ, পাথর কাটতে ব্যবহৃত হয়।
iii) অবসিডিয়ান আগ্নেয় শিলাকে ধারালো তীক্ষ্ণ করে পাথর কাটার কাজে ব্যবহার করা হয়। এটি দিয়ে গলার লকেট, কানের দুল, নেকলেস তৈরি করা হয়।
iv) আগ্নেয় শিলা পিউমিস স্টোন অমসৃণ মেঝে পরিষ্কার ও পলিশের কাজে লাগানো হয়।
v) উর্বর কৃষ্ণ মৃত্তিকায় প্রচুর কৃষি কাজ করা হয়। যা ব্যাসল্ট শিলা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে সৃষ্টি হয়।

পাললিক শিলা:

ব্যবহার:


i) চুনাপাথর ডলোমাইট রক জিপসাম প্রভৃতি পাললিক শিলা বহু বৃহৎ ও ক্ষুদ্র শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যেমন লৌহ ইস্পাত শিল্প সিমেন্ট শিল্প ইত্যাদি।

ii) কয়লা, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস প্রভৃতি নিত্যপ্রয়োজনীয় জ্বালানির প্রধান উৎস হল পাললিক শিলা স্তর।
iii) বেলেপাথর গৃহনির্মাণ, মন্দির, স্থাপত্য নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হয়। যেমন রাজস্থানের সোনার কেল্লা দূর্গটি হলুদ বেলে পাথর এবং দিল্লির লাল কেল্লা দূর্গটি বেলে পাথর দিয়ে তৈরি হয়েছে।
iv) পাললিক শিলাস্তরে জীবজন্তু, উদ্ভিদের জীবাশ্ম পাওয়া যায় যা অতীত সম্পর্কে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে বৈজ্ঞানিকগণ ব্যবহার করেন। যেমন – কয়লার মধ্যে উদ্ভিদের ও চুনাপাথরের মধ্যে জীবজন্তুর অস্থি দেহাবশেষ পাওয়া যায়।
v) পাললিক শিলা যুক্ত অঞ্চলের মৃত্তিকা খুবই উর্বর হয়। এই অঞ্চলের জমি কৃষিকাজে খুব ব্যবহার করা হয়।

  • রূপান্তরিত শিলা:

ব্যবহার:

i) চুনাপাথরের রূপান্তরিত রূপ হল মার্বেল পাথর। এটির সুন্দর গঠনের জন্য স্থাপত্য, মন্দির ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণের ব্যাপকহারে ব্যবহার করা হয়। যেমন – বিখ্যাত তাজমহল মার্বেল পাথর দ্বারা গঠিত।
ii) বেলে পাথর থেকে সৃষ্ট কোয়ার্টজাইট। এটি খুব শক্ত হয় বলে রাস্তাঘাট নির্মাণ, ভাস্কর্যশিল্প, বাড়ি নির্মাণের প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করা হয়।
iii) শ্লেট পাথর মেঝে ও ছাদ তৈরিতে, শ্রেণিকক্ষে ব্ল্যাকবোর্ড, লেখার শ্লেট হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
iv) শিস্ট পাথর বিভিন্ন ক্ষেত্রে সৌন্দর্যায়নের জন্য ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন ঃ ৪।  প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে ভারতের সম্পর্ক কেনো ভালো রাখা প্রয়োজন বলে তুমি মনে করো।

উত্তর ঃ 

  • বাণিজ্য ও পণ্যদ্রব্যের আদান-প্রদান:

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য অন্যান্য দেশের সাহায্য নেয়। ভারতও তার প্রতিবেশী দেশগুলির কাছ থেকে পণ্য আমদানি ও সেই দেশগুলিতে পণ্য রপ্তানি করে থাকে। এতে ভারত তার প্রতিবেশী দেশগুলির পণ্যের অভাব দূর করে। পন্য গুলি হল কৃষিজ পণ্য, ইলেকট্রনিক্স ও অন্যান্য বাণিজ্যিক পণ্য। তাই প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে ভারতের সুসম্পর্ক থাকা জরুরি।

  • শিল্প-সংস্কৃতির আদান-প্রদান:

ভারত শিল্পজাত ও দেশীয় পণ্য প্রতিবেশী দেশগুলোতে যেমন রপ্তানি করে তেমন সেই দেশগুলি থেকে পণ্য আমদানিও করে। এইভাবে দেশগুলির মধ্যে শিল্প- সংস্কৃতি র সমন্বয় ঘটায়। যেমন – শ্রীলংকার মূল্যবান রত্ন ভারত আমদানি করে, ভারত আবার কয়লা, পাটজাত দ্রব্য, বস্ত্র, ওষুধ রপ্তানি করে এর জন্য ভারত ও প্রতিবেশী দেশগুলির ভাব থাকা প্রয়োজনীয়।

  • পারস্পরিক সহযোগিতা:

ভারত ও তার প্রতিবেশী দেশগুলির সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য, পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য 1985 সালে SAARC গঠন করা হয়। এর সদস্য দেশ গুলির একে অপরকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রদান এর উদ্দেশ্য।

  • দেশে শান্তি বজায় ও যুদ্ধের আশঙ্কা হ্রাস:

দেশে শান্তি বজায় রাখার জন্য, প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় হ্রাস করার জন্য, যুদ্ধ পরিস্থিতি আশঙ্কা কমানোর জন্য প্রতিবেশী দেশের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে হয়।

  • অর্থনৈতিক উন্নয়ন:

বিদেশি মুদ্রা অর্জন, ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধি করা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম মাধ্যম। দেশের পর্যটন শিল্প প্রসার লাভ পেলে বিদেশি মুদ্রা অর্জন বৃদ্ধি পায়। এর জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা দরকার।

Model Activity Task geography class 8 part 1 2020 answers




0 thoughts on “Model Activity Task Class 8 Geography Part- 1 2020 WBBSE PDF”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top