MODEL ACTIVITY TASK
2021
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক
GEOGRAPHY
(পরিবেশ ও ভূগোল)
CLASS 10
PART 1
class 10 Model activity task geography part 1 2021 July wbbse questions
প্রশ্নপত্র:
সমাধানঃ
class 10 Model activity task geography part 1 2021 July wbbse answers
১.১ অবরোহন প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট একটি ভূমিরূপ হল – গ) গিরিখাত।
১.২ হিমবাহ ও পর্বতগাত্রের মধ্যে সৃষ্ট ভূমিরূপ হল – খ) বার্গস্রুন্ড।
১.৩ ঠিক জোড়াটি নির্বাচন – খ) পুদুচেরি – কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল।
২. শূন্যস্থান পূরণ করো।
২.১ বায়ুর অপসারণ প্রক্রিয়ায় বালি ও পলি কনা একস্থান থেকে অন্যস্থানে অপসারিত হয়।
২.২ কাশ্মীর উপত্যকা পিরপাঞ্জাল ও উচ্চ হিমালয় পর্বত শ্রেণী দ্বারা বেষ্টিত।
২.৩ উত্তর পূর্ব মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ভারতের শীতকাল শুষ্ক প্রকৃতির হয়।
৩.১ পলল ব্যজনী কেন পর্বতের পাদদেশে সৃষ্টি হয়?
উত্তর: পার্বত্য ঢাল ছেড়ে নদী সমভূমিতে প্রবেশ করামাত্র গতিপথের ঢাল হঠাৎ কমে যায় বলে নদীবাহিত পলি, নুড়ি, কাঁকর, প্রস্তরখন্ড প্রভৃতি পর্বতের পাদদেশে সঞ্চিত হয়। শঙ্কু আকারে সঞ্চিত পলি কে পলল শঙ্কু বলে।
এই পলল শঙ্কুর উপর দিয়ে নদী বিভিন্ন খাতে প্রবাহিত হলে, পলল শঙ্কুর অর্ধগোলাকার আকৃতিতে ভাগ হয়ে পড়ে। হাত পাখার মতো দেখতে প্রায় গোলাকার এইসব ভূমিরূপকে পলল ব্যজনী বলে।
পলল ব্যজনী র উচ্চতা পলল শঙ্কুর থেকে কম হয়। সাধারণত যে সকল নদীর জলপ্রবাহ বেশি কিন্তু পলির পরিমাণ কম সেখানে পলল ব্যজনী সৃষ্টি হয়। হিমালয়, রকি, আন্দিজ পর্বতের পাদদেশে প্রায় সকল নদীতে পলল ব্যজনী গড়ে উঠেছে।
class 10 Model activity task geography part 1 2021 July wbbse questions
৩.২ ধাপ চাষ, খালি চাষ ও সমোন্নতি রেখা বরাবর চাষের মাধ্যমে কিভাবে মৃত্তিকা ক্ষয় প্রতিরোধ করা সম্ভব?
উত্তর: মৃত্তিকা ক্ষয় প্রতিরোধ করার সম্ভাব্য উপায়গুলি নিচে আলোচনা করা হলো –
ধাপ চাষ: পাহাড়ি অঞ্চলে ধাপ কেটে চাষাবাদ করা হয়। জমির ঢালের আড়াআড়িভাবে ধাপ কেটে চাষের জমি তৈরি করা হয়। জমি আড়াআড়িভাবে কাটা হয় বলে জল সরাসরি নিচে গড়িয়ে পড়তে পারে না। এভাবে মাটির ক্ষয় রোধ করা যায়।
ফালি চাষ: পার্বত্য অঞ্চলের যেখানে জমির ঢাল খুব বেশি এবং জল সমভাবে একই দিকে প্রবাহিত হয়, সেই সকল অঞ্চলে ফালি কেটে চাষের জমি তৈরি করা হয়। ফালি কাটার কারণে জলের প্রবাহ বাধা পায় এবং মাটি ক্ষয় রোধ করা যায়।
সমোন্নতি রেখা বরাবর চাষ: সমোন্নতি রেখা বরাবর চাষ এর জন্য 8- 9 ফুট উঁচু করে এমনভাবে বাঁধ দেওয়া হয় যাতে দুটো বাঁধ মধ্যবর্তী জল বাইরে যেতে না পারে। এভাবে বাঁধ দেওয়ার ফলেও মাটির ক্ষয় রোধ করা যায়।
৪. হিমবাহের সঞ্চয় কার্যের ফলে গঠিত বিভিন্ন প্রকার গ্রাবরেখার সচিত্র বর্ণনা দাও।
উত্তর: পার্বত্য অঞ্চলের হিমবাহের ক্ষয়জাত পদার্থ উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে এবং পর্বতের পাদদেশে সঞ্চিত হয়ে বিভিন্ন ধরনের ভূমিরূপ গঠন করে।
হিমবাহের উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে সঞ্চয় কার্যের ফলে গঠিত একটি ভূমিরূপ হল গ্রাবরেখা।
গ্রাবরেখা: হিমবাহ প্রবাহের সময় হিমবাহ বাহিত বিভিন্ন প্রকার নুড়ি, পাথর, বালি ইত্যাদি হিমবাহ উপত্যকার উপর সঞ্চিত থাকে। এরকম অসমসত্ত্ব ভাবে বিন্যস্ত সঞ্চিত শিলা গ্রাবরেখা নামে পরিচিত। অবস্থান এর প্রকৃতি অনুযায়ী গ্রাবরেখা বিভিন্ন ধরনের হয়। যথা-
১) পার্শ্ব গ্রাবরেখা- হিমবাহের প্রবাহ পথের দু’পাশে অবস্থিত গ্রাবরেখা কে পার্শ্ব গ্রাবরেখা বলে।
২) মধ্য গ্রাবরেখা: পাশাপাশি অবস্থিত দুটি হিমবাহের মিলনের ফলে তাদের উভয়ের সন্নিহিত পার্শ্বদ্বয়ের মাঝে সঞ্চিত হয়ে তৈরি হয় মধ্য গ্রাবরেখা।
৩) প্রান্ত গ্রাবরেখা: হিমবাহ যে স্থানে এসে গলতে শুরু করে অর্থাৎ হিমবাহ যেখানে শেষ হয় সেখান যে গ্রাবরেখা সঞ্চিত হয় তাকে প্রান্ত গ্রাবরেখা বলে।
৪) ভূমি গ্রাবরেখা: হিমবাহের তলদেশে সঞ্চিত হয় ভূমি গ্রাবরেখা।
৫) অবিন্যস্ত গ্রাবরেখা: বিক্ষিপ্ত অবস্থায় গ্রাবরেখা সঞ্চিত হলে তাকে অবিন্যস্ত গ্রাবরেখা বলে।
৬) বলয় ধর্মী গ্রাবরেখা: বলয় আকারে সজ্জিত হলে তাকে বলয় ধর্মী গ্রাবরেখা বলে।
৭) রোজেন গ্রাবরেখা: গ্রাবরেখা একে অপরের উপর সঞ্চিত হলে তাকে রোজেন গ্রাবরেখা বলে।
৮) স্তরায়িত গ্রাবরেখা: সমুদ্রের সঞ্চিত গ্রাবরেখার স্তরকে স্তরায়িত গ্রাবরেখা বলে।
____