ক) উত্তর-পশ্চিম ভারতের প্রাচীন ভঙ্গিল পর্বত – নীলগিরি
খ) দক্ষিণ ভারতের পূর্ব বাহিনী নদী – নর্মদা
গ) আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের চিরহরিৎ বৃক্ষ – মেহগনি
ঘ) উত্তর-পূর্ব ভারত – কৃষ্ণ মৃত্তিকা
উত্তর: গ) আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের চিরহরিৎ বৃক্ষ – মেহগনি
১.৩ ভারতের রূঢ় বলা হয় –
ক) জামশেদপুর কে
খ) দুর্গাপুর কে
গ) ভিলাই কে
ঘ) বোকারো কে
উত্তর: খ) দুর্গাপুর কে
২. বাক্যটি সত্য হলে ‘ঠিক’ এবং অসত্য হলে ‘ভুল’ লেখ।
২.১ নদী খাতে অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট গর্ত গুলি হল মন্থকূপ। (ঠিক)
২.২ ভারতের উপকূল অঞ্চলে দিনের বেলা স্থল বায়ু প্রবাহিত হয়। (ভুল)
২.৩ শুষ্ক উষ্ণ আবহাওয়ায় চা চাষের পক্ষে আদর্শ। (ভুল)
৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও।
৩.১ ‘অক্ষাংশ ভেদে হিমরেখার উচ্চতা ভিন্ন হয়’ – ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ভূপৃষ্ঠের যে সীমা রেখার উপর সারাবছর তুষার জমে থাকে অথবা যার নিচে তুষার গলে জলে পরিণত হয়, তাকেই হিমরেখা বলে। ক) অক্ষাংশ, ২) উচ্চতা, ৩) ভূমির ঢাল, ৪) ঋতু পরিবর্তন, ৫) বায়ুর গতিবেগ প্রভৃতির ওপর হিমরেখার অবস্থান নির্ভর করে।
অক্ষাংশের মান বৃদ্ধির সাথে সাথে যেহেতু উষ্ণতা কম থাকে, তাই হিমরেখার উচ্চতাও কমতে থাকে। নিরক্ষীয় অঞ্চলে 5500, হিমালয় পর্বতে 4500, আল্পস পর্বতে 2500 মিটার উচ্চতায় এবং মেরু অঞ্চলে সমুদ্র তলে হিমরেখা অবস্থান করে।
৩.২ হিমালয় পর্বতমালা কিভাবে ভারতীয় জলবায়ুকে নিয়ন্ত্রণ করে?
উত্তর: ভারতের উত্তরে 2500 কিমি দীর্ঘ এবং গড়ে 4000 মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট ধনুক আকৃতির হিমালয় পর্বত ভারতের জলবায়ুকে বিভিন্নভাবে নিয়ন্ত্রণ করে।
i) অধিক উচ্চতার কারণে উপক্রান্তীয় অঞ্চলে অবস্থিত হওয়া সত্বেও হিমালয়ের জলবায়ু শীতল নাতিশীতোষ্ণ প্রকৃতির। কোন কোন অংশের জলবায়ু অত্যন্ত শীতল।
ii) হিমালয় পর্বতের অবস্থান এর ফলে মধ্য এশিয়ার অতি শীতল বায়ু ভারতে প্রবেশ করতে পারে না। ফলে শীতকালে ভারত অধিক শীতের হাত থেকে রক্ষা পায়।
iii) হিমালয়ের দক্ষিণ ঢালে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাধাপ্রাপ্ত হয় শৈলোৎক্ষেপ পদ্ধতিতে প্রবল বৃষ্টিপাত ঘটায় তাই ভারতীয় উপমহাদেশে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি।
iv) মৌসুমী বায়ুর উৎপত্তিতে ও পরোক্ষভাবে হিমালয়ের প্রভাব রয়েছে।
৪. ভারতীয় জনজীবনে নগরায়নের নেতিবাচক প্রভাব গুলি উল্লেখ করো।
উত্তর: ভারতের নগরায়নের কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। সেগুলির প্রভাব ভারতীয় জন জীবনে নানা রকমের নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যেমন –
ক) শহরের অপরিকল্পিত বৃদ্ধি : গ্রামাঞ্চল থেকে আসা মানুষ শহরতলীতে বিক্ষিপ্ত ও অপরিকল্পিত ভাবে বস্তি গঠন করে থাকে।
ভারতের সব বড় বড় শহরে এরকম বস্তি আছে। কলকাতা, মুম্বাই, চেন্নাই প্রভৃতি শহরগুলিতে প্রায় 30% জনসংখ্যা বস্তিতে বসবাস করে। সুপরিকল্পিত চণ্ডীগড়েও বস্তি দেখা যায়। বস্তি গুলিতে ঘনবসতি, কাঁচা বাড়ি, বিদ্যুতের অভাব, নিম্নশ্রেণির পয় প্রণালী, পানীয় জলের সমস্যা, অপরাধপ্রবণতা, জুয়ার আড্ডা, দারিদ্রতা – এই সমস্যাগুলি দেখা যায়।
খ) বাসস্থানের অভাব: শহরমুখী জনসংখ্যার চাপ বাসস্থানের সমস্যা তৈরি করে। জমির ঊর্ধ্ব মূল্য ও অস্বাভাবিক ঘর ভাড়া সাধারণত নিম্ন আয়ের দরিদ্র মানুষদের প্রধান সমস্যা।
এই সমস্যার প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার শহরের জমির আইন (Urban Land Ceiling Act) এবং ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন ( Rent Control Act) পাস করে। নগরায়নের জাতীয় পরিষদ ( The National Council on Urbanisation) সুপারিশ করে যে, নগর উন্নয়নে অন্তত 25% জমিতে দরিদ্র শ্রেণীর বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
গ) পরিবহনের সমস্যা : জনসংখ্যার তুলনায় রাস্তার তেমন বিস্তার ঘটে না ফলে যাতায়াতে খুব অসুবিধা হয়।
এই তিনটি প্রধান সমস্যা ছাড়াও নগর গুলিতে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে পরিকাঠামো বিপর্যস্ত হয়। এর কুফল গুলি সর্বত্রই লক্ষ্য করা যায় – স্বাস্থ্যপরিসেবা, কর্ম নিয়োগ, শিক্ষা, পরিবেশ ইত্যাদি সবক্ষেত্রেই জনসংখ্যার চাপ অনুভূত হয়। অতি দূষিত অস্বাস্থ্যকর হাসপাতালে মানুষের ভিড় ভারতের শহরের সাধারণ বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
👉 পোষ্টটি সম্পর্কে কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকলে পোস্টের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারো।
👉 ভূগোলের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর অন্য যেকোনো প্রশ্নের উত্তর জানার থাকলে e-mail করতে পারো bengalschoolguide@gmail.com এই e-mail ID তে কিংবা কমেন্ট বক্সে জানাতে পারো।